এইমাত্র
  • ‘স্বাধীনতা দিবসে কুচকাওয়াজ হবে না’ খবরটি সত্য নয়
  • সাংবাদিককে ফাঁসানোর চেষ্টাকারী মাদকের সেই দিদারুলকে ‘স্ট্যান্ড রিলিজ’
  • নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে ঘুমন্ত পুত্রবধূকে ধর্ষণ, শ্বশুর গ্রেপ্তার
  • ঠাকুরগাঁওয়ে যুবদলের পরিচ্ছন্নতা অভিযান
  • এস কে সুর, তার স্ত্রী ও মেয়ের বিরুদ্ধে আরও তিন মামলা
  • প্রাথমিক শিক্ষার মান উন্নত হয়নি: উপদেষ্টা রঞ্জন রায়
  • মাদ্রাসায় যাওয়ার পথে অটোরিকশা চাপায় শিশুর মৃত্যু
  • রাজশাহীতে দুই ট্রেনের সংঘর্ষের ঘটনায় ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন
  • অনলাইন ক্লাস শেষে ২৪ দিনের ছুটিতে যাচ্ছে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়
  • গৌরনদীতে বাসের ধাক্কায় অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য নিহত
  • আজ সোমবার, ২ চৈত্র, ১৪৩১ | ১৭ মার্চ, ২০২৫

    নড়াইলে

    নড়াইলে ইউপি সদস্যকে কুপিয়ে জখম


    নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার কাশিপুর ইউনিয়নের এক ইউপি সদস্য মেম্বারকে কুপিয়ে জখম করেছে দুর্বৃত্তরা। আহত ইউপি সদস্যের নাম শরিফুল ইসলাম (৪২)। তিনি কাশিপুর ইউনিয়নের চালিঘাট গ্রামের সাইফার রহমানের ছেলে। ওই ইউনিয়নের এক নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার। গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে নড়াইল আধুনিক সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।


    শুক্রবার (১৪ মার্চ) রাত সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার কাশিপুর ইউনিয়নের চালিঘাট গ্রামের হিন্দুপাড়া এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটে।


    স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার রাতে উপজেলার কাশিপুর ইউনিয়নের চালিঘাট গ্রামের হিন্দুপাড়া এলাকায় একটি দোকানের সামনে একদল দুর্বৃত্ত দেশীয় অস্ত্র দিয়ে মেম্বার শরিফুল ইসলামকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ও পিটিয়ে গুরুতর জখম করে। এতে তার একটি হাত প্রায় বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় ও মাথায় মারাত্মক আঘাত লাগে। পরে স্থানীয় লোকজন ও স্বজনরা গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে নড়াইল আধনিক সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে জরুরী বিভাগের দ্বায়িত্বরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাকে খুলনা মেডিকেলে নেয়ার পরামর্শ দেন। পরে তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। বর্তমানে যেখানে তার চিকিৎসা চলছে।


    লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশিকুর রহমান জানান, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এ ঘটনা তদন্ত করে জড়িতদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।


    এসআর

    নড়াইলে ইয়াবা ট্যাবলেটসহ গ্রেফতার ১

    নড়াইলে ২৪ পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ মুছা শেখ (২৬) নামের এক য়ুবককে গ্রেফতার করেছে নড়াইল জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) পুলিশ।


    বুধবার (১২ মার্চ) রাতে সদর থানার পৌরসভাধীন ভওয়াখালী মিতালী সংঘ মন্দির এলাকা থেকে তাতে গ্রেফতার করা হয়। সে সদর থানার ভাটিয়া গ্রামের মৃত ওমর আলী শেখের ছেলে।


    পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জেলা গোয়েন্দা শাখার অফিসার ইনচার্জ মোঃ শাহাদারা খান (পিপিএম) এর তক্তাবাধানে এসআই মোঃ ফারুক হোসেন ও এসআই জাহাঙ্গীর আলম সঙ্গীয় ফোর্সসহ অভিযান চালিয়ে গতকাল বুধবার রাতে সদর থানা পৌরসভার ভওয়াখালী গ্রামের মিতালী সংঘ মন্দিরের পিছনে পাঁকা রাস্তার উপর থেকে মুছা শেখকে গ্রেফতার করে। এ সময় আসামির নিকট থেকে ২৪ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট জব্দ করা হয়।


    নড়াইল জেলা গোয়েন্দা শাখার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহাদারা খান (পিপিএম) গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে সময়ের কন্ঠস্বরকে বলেন, এ সংক্রান্তে নড়াইল সদর থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা রুজু করা হয়েছে। আসামিকে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।



    এসআর

    নড়াইলে হারিয়ে যাওয়া ২০টি মোবাইল ও নগদ টাকা ফেরত পেলেন মালিকেরা

    নড়াইলে বিভিন্ন এলাকা থেকে হারিয়ে যাওয়া ২০টি মোবাইল ফোন ও অনলাইন প্রতারণার মাধ্যমে খোয়া যাওয়া ৯৩ হাজার টাকা উদ্ধার করে মালিকদের ফিরিয়ে দিয়েছেন জেলা পুলিশ। নড়াইলের চারটি থানায় সাধারন ডায়রির প্রেক্ষিতে জেলা পুলিশের সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন সেল বিভিন্ন মডেলের ২০টি হারানো মোবাইল ফোন ও বিভিন্নভাবে অনলাইন প্রতারণার মাধ্যমে খোয়া যাওয়া ৯৩ হাজার টাকা উদ্ধার করে।


    মঙ্গলবার (১১ মার্চ) দুপুরে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে পুলিশ সুপার কাজী এহসানুল কবীর উদ্ধারকৃত মোবাইল ফোন ও অনলাইন প্রতারণার মাধ্যমে খোয়া যাওয়া টাকা প্রকৃত মালিকদের নিকট আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করেন। হারানো মোবাইল ফোন ও টাকা ফেরত পেয়ে মালিকেরা আনন্দে আবেগ আপ্লুত হয়ে পড়েন।


    পুলিশ জানায়, জেলা সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন সেলের এসআই মোঃ জয়নুল আবেদীন, এসআই গৌতম কুমার পাল ও এসআই আলী হোসেনসহ অন্যান্য পুলিশ সদস্যরা তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে নড়াইল জেলার চারটি থানা এলাকায় হারিয়ে যাওয়া মোবাইল ফোন ও অনলাইন প্রতারণার মাধ্যমে খোয়া যাওয়া টাকা উদ্ধার করেন। হারানো জিডির প্রেক্ষিতে ২০টি হারানো মোবাইল ফোন ও বিভিন্নভাবে অনলাইন প্রতারণার মাধ্যমে খোয়া যাওয়া ৯৩ হাজার টাকা উদ্ধার করেন।


    মোবাইল ও টাকা ফেরত পেয়ে ভুক্তভোগীরা বলেন, তারা এগুলো পাওয়ার আশা প্রায় ছেড়েই দিয়েছিলেন। পুলিশ তাদের মোবাইল ও টাকা উদ্ধার করে আস্থার প্রতিদান দিয়েছেন। তারা তাদের মোবাইল ও টাকা খোয়া গেলে নিকটস্থ থানায় ঘটনার বিষয়ে জিডি করে সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন সেল নড়াইল টিমের সাথে যোগাযোগ করেন। যার প্রেক্ষিতে তাদের হারানো মোবাইল ফোন ও টাকা উদ্বার করা হয়। তারা পুলিশ সুপার মহোদয় ও সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন সেলে কর্মরত সদস্যদের কাজ ও আন্তরিকতার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।


    এসময় জেলা গোয়েন্দা শাখার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহ্ দারা খান, সিসিআইসি সহ সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন সেলে কর্মরত পুলিশ সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।


    এসআর

    নড়াইলের পথে পথে চোখজুড়ানো ভাঁট ফুল

    রাস্তার পাশে অযত্নে, অনাদরে ও অবহেলায় বেড়ে ওঠা গ্রাম বাংলার অতি পরিচিত গুল্মজাতীয় বহুবর্ষজীবী বুনো উদ্ভিদ ভাঁট। নড়াইলের বিভিন্ন এলাকায় রাস্তার দু’পাশে, গ্রামের আঁকাবাঁকা মেঠো পথে, আনাচে-কানাচে অযতেœ অবহেলা প্রাকৃতিকভাবে বেড়ে ওঠে এই ভাঁট ফুল গাছ। শুভ্র সাদা ভাঁট ফুল চোখ জুড়ায় যে কোন ফুল প্রেমীদের। গ্রাম বাংলার চিরচেনা এ ফুলটি হরহামেশা দেখা গেলেও সাদা ফুলের দিকে তাকালে অনেকের মন ভালো হয়ে যায়। পবিত্র একটা অনুভূতি জাগে। অঞ্চলভেদে এই গাছের ফুলকে ভাইটা ফুল, ঘেটু ফুল, ভাত ফুল, বনজুঁই ফুল, ঘণ্টাকর্ণ বলা হলেও নড়াইলে ভাঁট ফুল বা ভাঁটি ফুল নামেই সমধিক পরিচিত। চৈত্র মাসে এই ফুল ফোঁটে বলে একে চৈতের ফুলও বলা হয়।


    নড়াইলের বাঁশগ্রাম ইউনিয়নের চাঁদপুর-বগুড়া বিলের মধ্য দিয়ে যাওয়া সড়ক, লোহাগড়া-মিঠাপুর প্রধান সড়কের দুই পাশে ও কালিয়া-নড়াইল প্রধান সড়কের দুই পাশে ভাঁট ফুলের সমারোহ দেখলে মনে হবে প্রকৃতি যেন অপরূপ সাজে সেজেছে। এছাড়া জেলার সর্বত্র ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা আশ পাশের বাগানগুলোতে ভাঁট ফুলের সৌন্দর্য দেখে পথচারী বা দর্শনার্থীরা মুগ্ধ হবেন।


    বসন্তের আগমনে পলাশ-শিমুলের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে প্রকৃতিকে সাজাতে ফোঁটে এই শুভ্র সাদা ভাঁট ফুল। বিশেষ করে পরিত্যক্ত মাঠ, বন, রাস্তা কিংবা জলাশয়ের পাশে মিষ্টি ঘ্রানের,অজস্র ভাঁট ফুল ফোঁটা অবস্থায় চোখে পড়ে। এক সঙ্গে অনেক ফুল ফুটে। এর বৈজ্ঞানিক নাম, “ক্লেরোডেনড্রাম ভিসকোসাম” ও ইংরেজি নাম “হিল গেন্টারি বোয়ার ফ্লাওয়ার”। ভাঁট ফুলের আদি নিবাস ভারতবর্ষ, বাংলাদেশ ও মিয়ানমার অঞ্চলে।


    তবে যতদিন যাচ্ছে ততই হারিয়ে যাচ্ছে এই প্রজাতির ফুল। এখন বেশ দুর্লভ। গ্রামে কমেছে, শহরে তেমন চোখে পড়ে না। কিন্তু ফুলপ্রেমীরা খুঁজলে নিরাশ হবেন না। এই ফাল্গুন-চৈত্রে চোখ খোলা রাখলে, মন থেকে খুঁজলে সন্ধান মিলবে ভাঁটের। নিজ উদ্যোগে বেঁচে থাকা ভাঁট গাছের প্রধান কান্ড সোজাভাবে দন্ডায়মান, সাধারণত ২ থেকে ৪ মিটার লম্বা হয়। পাতা ৪ থেকে ৭ ইঞ্চি লম্বা হয়। দেখতে কিছুটা পানপাতার আকৃতির ও খসখসে। ডালের শীর্ষে পুষ্পদÐে ফুল ফোঁটে। পাপড়ির রং সাদা এবং এতে বেগুনি রঙের মিশ্রণ আছে। বসন্ত থেকে গ্রীষ্ম অবধি ফুল ফোঁটে। এই ফুলের রয়েছে মিষ্টি সৌরভ। রাতে বেশ সুঘ্রাণ ছড়ায় এই ফুল। ফুল ফোঁটার পর মৌমাছিরা ভাঁট ফুলের মধু সংগ্রহ করে থাকে।


    ভাঁটফুল বা ঘেটু গুল্মজাতীয় দেশী বুনো পুষ্পক উদ্ভিদ। এটি বুনো ফুল, গাঁয়ের মাঠে কিংবা রাস্তার ধারে আজত্নে ফুটে থাকে এই ফুল। ফুল গাছটি ভাঁট বলে পরিচিত হলেও স্থানভেদে এবং ভিন্ন ভিন্ন জনগোষ্ঠীতে এর ভিন্ন ভিন্ন নামও রয়েছে। অনেকে একে বনজুঁইও বলেন। এ গাছের ভেষজ গুণাগুণও রয়েছে।


    লোহাগড়া উপজেলার বাসিন্দা আশরাফুল বিশ্বাস ও রকিবুল শেখ জানান, ‘ছোট বেলায় আমাদের অঞ্চলে এই মৌসুমে প্রচুর ভাঁট ফুল দেখা যেত। এখনো দেখা যায় তবে কম। দেখতে যেমন সুন্দর তেমন এর ঘ্রাণটাও খুবই ভালো লাগে।


    নড়াইল সদর উপজেলার বাসিন্দা শাপলা ও তানিয়া জানান, ‘একসময় গ্রাম-গঞ্জে এ ফুল দেখতে পেতেন। এখন আগের মতো সচারচার দেখা যায় না। অযতেœ প্রাকৃতিকভাবে বেড়ে উঠলেও সৌন্দর্যে কোনো কমতি নেই।’


    কালিয়া উপজেলার হাবিব বলেন, ‘ভাঁট ফুল দেখতে খুবই সুন্দর। গ্রামের মেঠো পথের দু'পাশে এখনো এ ফুল দেখা যায়। তবে আগের চেয়ে এখন কমই চোখে পড়ে।


    এসআর

    নড়াইলে চোরাই মোটরসাইকেলসহ গ্রেফতার ২



    নড়াইলে চোরাই একটি মোটরসাইকেলসহ চোর চক্রের দুই সদস্যকে গ্রেফতার করেছে নড়াইল জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) পুলিশ। শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) কালিয়া থানার পুরুলিয়া ইউনিয়নের পুরুলিয়া-রঘুনাথপুর গামী পাঁকা রাস্তার উপর থেকে তাদের গ্রেফতার করেন জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) পুলিশ।


    তারা হলেন রাসেল শেখ (৩০) নড়াইল জেলার কালিয়া থানার উকিল শেখের ছেলে, মমিন হোসেন (২৪) মাগুরা জেলার পারনান্দয়ালী গ্রামের মনিরুল মল্লোর ছেলে। শনিবার রাতে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানায় নড়াইল জেলা পুলিশের মিডিয়া সেল।


    প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ২১ ফেব্রুয়ারি বিকাল ৫টার দিকে নড়াইল সদর থানার আউড়িয়া গ্রামস্থ মাদ্রাসাতু দারুন নাঈম হাফেজিয়া মাদ্রাসার সামনে হতে জিহাদুল ইসলামের ব্যবহৃত লাল কালো রংয়ের পালসার মোটরসাইকেলটি চুরি করে নিয়ে যায়। নড়াইল জেলার পুলিশ সুপার কাজী এহসানুল কবীর এর নির্দেশে চোরাই মোটরসাইকেল উদ্ধার ও চোর গ্রেফতারে মাঠে নামে নড়াইল জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) পুলিশ। নড়াইল জেলা গোয়েন্দা শাখার অফিসার ইনচার্জ মো. শাহাদারা খান (পিপিএম) এর তত্ত্বাবধানেএসআই অহিদুর রহমান, এএসআই নাহিদ নিয়াজ ও এএসআই তুহিন আলী সঙ্গীয় ফোর্সসহ অভিযান চালিয়ে ২২ ফেব্রুয়ারি সকাল ১০টা ২০মিনিটের দিকে কালিয়া থানার পুরুলিয়া ইউনিয়নের পুরুলিয়া গ্রামস্থ জনৈক সোহান সরদারের বসতবাড়ির উত্তর পাশে পুরুলিয়া-রঘুনাথপুর গামী পাঁকা রাস্তার উপর হতে আসামিদের গ্রেফতার করেন। গ্রেফতারকৃত আসামিদের নিকট হতে চোরাই মোটরসাইকেল (যার রেজি নং-নড়াইল ল-১১-৫৭৩২) উদ্ধার পূর্বক বিধি মোতাবেক জব্দতালিকা মূলে জব্দ করে হেফাজতে গ্রহণ করেন। এ সংক্রান্তে নড়াইল সদর থানায় একটি চুরির মামলা রুজু করা হয়েছে। আসামিদেরকে বিজ্ঞ আদালতের সোপর্দ করা হয়েছে।


    এসআর

    ফলপ্রকাশ নিয়ে বিভ্রান্তি, নড়াইলে সিভিল সার্জন অফিসের নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ

    নড়াইল সিভিল সার্জন অফিসের নিয়োগ পরীক্ষার ফল প্রকাশের ১৩ ঘণ্টা পর ফের সংশোধিত প্রকাশ করা হয়েছে। এ সময় পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের রোল একাধিকবার আসা সহ বিভিন্নভাবে ফলাফল কারচুপির অভিযোগ ওঠে কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে।

    শনিবার (২০ এপ্রিল) সকালে নড়াইল জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সরকারি ওয়েবসাইটে জেলা সিভিল সার্জন ও নিয়োগ পরীক্ষা বোর্ডের সদস্য সচিব ডা. সাজেদা বেগম স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এ ফল প্রকাশ করা হয়। এ সময়ে চারটি পদে ৬৮টি শূন্যপদের বিপরীতে লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশ করে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। ফল প্রকাশের পর বিভ্রান্তির সৃষ্টি হলে ১৩ ঘণ্টা পর আবার তা সংশোধন করে মধ্য রাত ১২টা ৫৫ মিনিটে পুনরায় ফল প্রকাশ করা হয়।

    এদিকে সংশোধিত নতুন চিঠিতে বলা হয়েছে, রোববার (২১ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৮টা থেকে লিখিত পরীক্ষায় নির্বাচিতদের মৌখিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

    শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সকাল ১০টা থেকে দেড় ঘণ্টাব্যাপী চারটি পদের বিপরীতে চাকরি প্রত্যাশীরা লিখিত পরীক্ষা দেন। ২৪ ঘণ্টা না পেরোতেই এ ফল প্রকাশ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ ফলাফল নিয়ে তীব্র সমালোচনা শুরু হয়।

    লিখিত পরীক্ষার প্রকাশিত প্রথম ফলাফলে দেখা যায়, স্বাস্থ্য সহকারী পদে ১৪৯ জন পরীক্ষার্থী মৌখিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য কৃতকার্য হয়েছেন। ফলাফলে ২৪২২১৪০০৭০২, ২৪২২১৪০৩৩১২ এবং ২৪২২১৪০৩৫০৫ রোল নাম্বার দুই বার করে কৃতকার্যের তালিকায় প্রকাশ করা হয়েছে। এসময়ে ফেসবুকে ফলাফল প্রকাশের পর, নেতিবাচক মন্তব্যে ঠাসা পড়ে সিভিল সার্জন অফিস, নড়াইল নামক ফেসবুক পেজ।

    পল্লব রায় নামে একজন তার ফেসবুক পোস্টে লেখেন, এটা কেমনে কী? পরীক্ষার ২৪ ঘণ্টা পার হতে না হতেই রেজাল্ট প্রকাশ, নাকি আগে থেকেই রেজাল্ট শিট তৈরি করে নিয়ে, পরীক্ষার আয়োজন করা হয়েছিল? সাধারণ প্রার্থীদের এভাবে হয়রানি কেন? কারও কারও তো ডাবল রেজাল্টও দেখা যাচ্ছে, এমন কেন ডাই? মাশরাফির নড়াইলে এ কেমন দুর্নীতি এ কেমন প্রহসন? এমন চলতে থাকলে সাধারণ মানুষ দাঁড়াবে কোথায়, ভরসা করবে কাকে? আমার তো মনে হয় নিয়োগকর্তাদের ঘাড়ে জিন পরীর আছর আছে।

    রোহানুল আলম নামের একজন লেখেন, 'চরম দুর্নীতিগ্রস্ত একটা রেজাল্টশিট, কারণ আমার পরিচিত জন ৭০+ কনফার্ম পাবে, তাও টিকলো না, তাছাড়া পরীক্ষায় উত্তরপত্রের সিকিউরিটি ছিলো না, খাতা পরিবর্তন করার সুযোগ রয়েছে, এটা অসম্ভব যে ৭০০০+ পরীক্ষার্থীর খাতা মাত্র ১২ ঘণ্টার মধ্যে মূল্যায়ন শেষ করা হয়েছে। এটা আর বলার অপেক্ষা রাখে না, আবার কেউ কেউ ১৫ লাখ টাকা পর্যন্ত ঘুষ দিয়ে যোগাযোগ করছেন।

    লিখিত পরীক্ষার প্রকাশিত প্রথম ফলাফল নিয়ে ওঠে সমাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কথার বাড়। ক্লাস আলী নামক আইডি থেকে লেখা হয়, ২৪ ঘণ্টা পার হতে না হতেই, এতগুলো প্রার্থীর একটা লিখিত পরীক্ষার ফলাফল; মূল্যায়ন কেমনে সম্ভব? এ যেন ওএমআর থেকেও ফাস্ট। নাকি সর্ষের ভেতর ভূত?

    জেলা সিভিল সার্জন অফিস জানিয়েছে, চলতি বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি ১৫ ও ১৬তম গ্রেড বেতন স্কেলে চারটি পদের বিপরীতে ৬৮টি শূন্য পদে জনবল নিয়োগে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। স্বাস্থ্য সহকারী শূন্য পদে ৬২ জন, স্টোর কিপার পদে ০৩ জন, অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর পদে ০২ জন। আবার কোল্ড চেইন টেকনিশিয়ান পদে একজনের বিপরীতে আবেদন করেন ৫ হাজার ৪২৮ জন চাকরি প্রত্যাশী। প্রতি পরীক্ষার্থীকে ফি বাবদ গুনতে হয়েছে ২২৩ টাকা।

    আরও জানা যায়, লিখিত পরীক্ষায় স্বাস্থ্য সহকারী পদে ৩ হাজার ৩৫৪ জনের বিপরীতে ১৪৬ জন, অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক পদে ১৪৮ জনের বিপরীতে ১৫ জন, স্টোর কিপার পদে ৪০৫ জনের বিপরীতে ১৬ জন, কোল্ড চেইন টেকটিনিসিয়ান ৪ জনের বিপরীতে ১ জন পরীক্ষার্থী মৌখিক পরীক্ষার জন্য উত্তীর্ণ হয়েছেন। চারটি পদের বিপরীতে লিখিত পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করেছেন ৩৯১১ জন এবং তাদের লিখিত পরীক্ষায় বাংলা, অংক, ইংরেজি ও সাধারণ জ্ঞানের প্রশ্ন উত্তরে খাতা মূল্যায়ন করেছেন স্কুল-কলেজের ৪০জন শিক্ষক।

    নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক চাকরি প্রত্যাশীরা বলেন, ভালো পরীক্ষা দেওয়া সত্ত্বেও আমাদের নাম আসেনি। গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে অনেকেই নাকি টাকা পয়সা দিয়ে লবিং করে যাচ্ছে চাকরির জন্য।

    এ বিষয়ে এ জেলা সিভিল সার্জন ও নিয়োগ বোর্ডের সদস্য সচিব ডা. সাজেদা বেগম মুঠোফোনে জানান, ফলাফল প্রকাশে টাইপিং মিসটেকের কারণে লিখিত পরীক্ষায় স্বাস্থ্য সহকারী পদে ৩টি রোল নাম্বার রিপিট হয়েছে। তবে আমরা ১৪৯ জনকে নয় ১৪৬ জনকে ওই পদে রেখেছি। সংশোধিত ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে। নিয়োগ প্রক্রিয়ায় যে কোনো ধরনের চাপ এড়াইতেই শতভাগ স্বচ্ছতার সাথেই লিখিত পরীক্ষার খাতা মূল্যায়ন করে ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে। 

    এমআর

    লাখো প্রদীপ জ্বালিয়ে ভাষা শহীদদের স্মরণ

    লাখো প্রদীপ জ্বালিয়ে ভাষা শহীদদের শ্রদ্ধা জানালেন নড়াইলবাসী। বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সূর্যাস্তের সঙ্গে সঙ্গে ভাষা শহীদদের স্মরণে প্রজ্জ্বলন করা হয় লাখো প্রদীপ। সেই সঙ্গে ওড়ানো হয় রঙিন ফানুস এবং চলতে থাকে দেশাত্মবোধক গান।

    ব্যতিক্রমী এ আয়োজন দেখতে নড়াইল সরকারি ভিক্টোরিয়া কলেজ সংলগ্ন শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়ামে (কুড়ির ডোপ মাঠে) বিকেল থেকেই জড়ো হন হাজারও মানুষ। 

    অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আশফাকুল হক চৌধুরী। এ সময় উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার মোহা.মেহেদী হাসান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) শ্বাশতী শীল, নাট্যকার কচি খন্দকার, নড়াইল পৌর মেয়র আঞ্জুমান আরাসহ প্রমুখসহ আক অনেক।

    একুশের আলোর কর্মকর্তারা জানান, ভাষা শহীদদের স্মরণে ১৯৯৮ সাল থেকে ব্যতিক্রমী এই আয়োজন শুরু হয়। প্রথমবার নড়াইলের সুলতান মঞ্চ চত্বরসহ শহরের বিভিন্ন স্থানে প্রায় ১০ হাজার মোমবাতি প্রজ্জ্বলন করা হয়। এরপর নড়াইল সরকারি ভিক্টোরিয়া কলেজ খেলার মাঠ সংলগ্ন শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়ামে (কুড়ির ডোপ মাঠে) লাখো মোমবাতি প্রজ্জ্বলন করে ভাষা শহীদদের স্মরণ করা হচ্ছে।

    প্রতিবছর অন্ধকার ছাপিয়ে প্রায় ছয় একর সুবিশাল মাঠ মোমের আলোয় আলোকিত হয়ে ওঠে। শহীদ মিনার, বর্ণমালা, অল্পনা ছাড়াও বাংলাদেশের নানান ঐতিহ্য তুলে ধরা হয় মোমবাতির আলোয়। এ দিন মোমবাতির আলোয় প্রাণ ভরে স্মরণ করে নড়াইল বাসী।

    এমআর

    Loading…